দই খেতে কেনা পছন্দ করে, আর তা যদি হয়
মিষ্টি দই তাহলে তো কথাই নেই। বিয়ের অনষ্ঠান কিংবা ঘরোয়া উৎসবে দই এর যেন জুড়ি
নেই। বাজারে আজকাল যে দই পাওয়া যাচ্ছে তা বিভিন্ন ক্যামিকেল থাকার ভয়ে অনেকেই দই
খাওয়া কিছুটা কমিয়ে দিয়েছেন। আবার অনেকে
বাড়িতে দই তৈরী করতে পারেন না বলে কিংবা দই তৈরীতে বেশ সময় লাগে বলে আর বাড়িতে তৈরী করা হয় না। তাই বলে কি মজাদার দই খাওয়া বাদি দিয়ে দিবেন? অবশ্যই না। তিন ঘন্টায় পারফেক্ট মিস্টি দই বানানো শিখবো। দইয়ের আসল স্বাদ বজায় রেখে আপনি ও তৈরি করে নিতে পারেন অসাধারণ স্বল্প সময়ের এই দই । আশ করি আপনাদের সবার অনেক ভাল লাগবে।
বাড়িতে দই তৈরী করতে পারেন না বলে কিংবা দই তৈরীতে বেশ সময় লাগে বলে আর বাড়িতে তৈরী করা হয় না। তাই বলে কি মজাদার দই খাওয়া বাদি দিয়ে দিবেন? অবশ্যই না। তিন ঘন্টায় পারফেক্ট মিস্টি দই বানানো শিখবো। দইয়ের আসল স্বাদ বজায় রেখে আপনি ও তৈরি করে নিতে পারেন অসাধারণ স্বল্প সময়ের এই দই । আশ করি আপনাদের সবার অনেক ভাল লাগবে।
উপকরণ
v দুধ – ১লিটার
v গুড়া দুধ – ২ টেবিল চামচ
v টক দই – ২ টেবিলচামচ +১/২ চাচামচ ( প্রান)
v ক্যারামেল :-
v চিনি – ৮-৯ চাচামচ
v পানি – ৩ চাচামচ
প্রনালী
v
একটি স্টিলের পাত্রে পানি ও চিনি একসাথে মিশিয়ে নিন ।
v
চুলায় মাঝারি আঁচে জাল দিয়ে গলিয়ে নিন ।
v
চামচ দিয়ে নেড়ে নেড়ে বাদামি কালার করে নিন ।
v বেশি জালে ক্যারামেল
তৈরি করবেন না । তাহলে পুড়ে তিতা হয়ে যাবে ।
v
দুধ জাল দিয়ে ঘন করে করে নিন ।
v
শেষের দিকে গুড়া দুধ লিকুইড দুধের সাথে মিশিয়ে জাল দিন ।
v
শেষের দিলে গুড়া দুধ দিলে অনেক সুন্দর স্মেল আসে দই থেকে ।
v
দুধের সাথে ক্যারামেল দিয়ে জাল দিন ।
v
দুধ জাল দিয়ে ৫০০ মিলিলিটার অথবা ৪০০ মিলি লিটার করে নিন ।
v
হ্যান্ড বিটার দিয়ে দুধ নেড়ে নেড়ে জাল দিন । তাহলে ঘন সর
পড়বেনা । আবার দই দেখতেও স্মুথ হবে
।
v
চুলা থেকে নামিয়ে হ্যান্ড বিটার অথবা চামচ দিয়ে নাড়ুন। দুধ
কুসুম গরম হয়ে আসলে টক দই দিয়ে ভাল করে নেড়েচেড়ে দিন ।
v
বিটার দিয়ে ভাল করে ফেনা ফেনা করুন ।
v
আরো মিষ্টি লাগলে চিনি মিক্স করে নিন।
v
মাটির পাত্রে ঢেলে চুলার নিচে অল্প আঁচে ২ ঘন্টা রাখুন ।
v
চুলার নিচে রাখার পর দইয়ের পাত্র ঢেকে রাখবেন এবং নাড়াচাড়া
করবেন না ।
v
২ ঘন্টা পরে হাড়িতে পানি গরম করে তার উপর প্লাস্টিকের ,অথবা এলুমিনিয়াম ছিদ্র সহ জালি বসিয়ে তার উপর দইয়ের পাত্র
বসিয়ে দিন ।
v
উপরে জালি ঢাকনা দিয়ে একদম অল্প আঁচের থেকে সামান্য বেশি আচ
দিয়ে ১ ঘন্টা ১০-১৫ মিনিট রাখুন । নাড়াচাড়া করবেন না ।
v
১ ঘন্টা হয়ে গেলেই সাসলিকের কাঠি দিয়ে আস্তে করে মাঝখানে
ঢুকিয়ে চেক করে নিবেন । যদি মনে করেন হয়ে গিয়েছে তাহলে নামিয়ে নিন । আর যদি মনে
করেন এখনও পাতলা রয়েছে তাহলে আর কিছুক্ষন জাল দিন ।
v
দই ঠাণ্ডা করে ফ্রিজে রাখুন ।
v
নিচে নামানোর পরে দই ঠান্ডা করে ফ্রিজে রাখলে আর জমাট
বাধবে। তাই জাল দিয়ে বেশি শক্ত করে ফেলবেন না । শক্ত করে ফেললে আবার পুডিং পুডিং
লাগবে ।
টিপস
v
দই জমাবার সময় নাড়াচাড়া করলে দই ভাল ভাবে জমাট বাধবেনা ।
v
টক দই যেকোন ব্র্যান্ডের নিতে পারেন । টক দই বেশি টক হলে
চিনি একটু বেশি দিতে হবে ।
v
দুধ ঘন করলে দইয়ের টেস্ট আরো ভাল হয় ।
v
চিনি আরো বেশি খেতে চাইলে ক্যারামেল এ বেশি চিনি দিন ।
তাহলে দইয়ের কালার আর সুন্দর হবে।
v
দুধ বেশি ঘন করেলে কম সময় ভাপে রাখতে হবে ।
v
ভাল মানের হিট প্রুফ বক্সেও দই বসাতে পারেন। বক্সে ৫০-৬০
মিনিটের মধ্যে হয়ে যাবে ।
v
দই ভাপে দেয়ার সময় ঢাকনা দিবেন না জালি দিবেন। ঢাকনা দিলে
ভাপে ঢাকনার পানি দইয়ে পরবে ।
v চাইলে মিস্টি দই ও
দিতে পারেন দইয়ের বিজ হিসেবে।
আশা করছি আজ থেকে খুব অল্প সময়েই তৈরী করতে
পারবেন পারফেক্ট মিস্টি দই । সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
0 comments:
Post a Comment