WHAT'S NEW?
Loading...

পুরো ঢাকা তো বটেই, বরং পুরো দেশেই সমাদৃত ‘ঢাকাইয়া’ রান্না। পুরান ঢাকার বনেদী রেসিপিতে তৈরি খাবারগুলোর মাঝে এখনো আছে সেই সাবেকী স্বাদ। এই স্বাদের টানে অনেকেই পুরান ঢাকা এলাকায় খেতে যান বছরের বিভিন্ন সময়ে। কিন্তু কিছু কিছু ঢাকাইয়া খাবার আপনি বাড়িতেই তৈরি করতে পারেন। তার জন্য জেনে রাখা দরকার তাদের রান্নার মতো একই স্বাদ-গন্ধ নিয়ে আসার কিছু নিয়ম। মুক্তি আফরোজের রেসিপিতে আজ দেখে নিন একদম নিখুঁত ঢাকাইয়া তেহারি রান্নার রেসিপিটি। 

উপকরণ:
    • মাংস - ১ কেজি
    • আদা বাটা - ১ টেবিল চামচ
    • রসুন বাটা - ১ টেবিল চামচ
    • টক দই - ১/৩ কাপ
    • মরিচ গুঁড়ো - ১ টেবিল চামচ
    • জিরা গুঁড়ো - ২ চা চামচ
    • গরম মসলা গুঁড়ো - ১ চা চামচ
    • তেল - ১ কাপ (সয়াবিন এবং সরিষার তেল মিলিয়ে)
    • পিঁয়াজ কুচি - ১ কাপ
    • লবণ স্বাদ মত

    পোলাও সেদ্ধ করার জন্য:
    • চাল - ৩ কাপ
    • পানি - ৫ কাপ
    • দুধ - ১ কাপ
    • কেওড়া জল - ১ টেবিল চামচ
    • লবণ স্বাদ মত
    • কিছু আস্ত গরম মশলা
    • ৮-১০টি কাঁচামরিচ

    স্পেশাল মশলার জন্য:
    • দারুচিনি - ছোট ৩ টুকরো
    • জয়ত্রী - ছোট ৩ টুকরো
    • এলাচ - ৭/৮ টা
    • জয়ফল - ১/২ টা

      প্রণালী:
      • প্রথমেই স্পেশাল মশলাটা তৈরি করে নিন। দারুচিনি, জয়ত্রী, এলাচ এবং জয়ফল একসাথে একটি ব্লেন্ডারে গুঁড়ো করে নিন। এগুলো ভাজার কোনো দরকার নেই। 
      • এবার গরুর মাংস নিন একটি পাত্রে। এর সাথে স্পেশাল মশলা, আদা-রসুন বাটা, টক দই, মরিচ, জিরা গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো এবং লবণ দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন। আপনার হাতে সময় থাকলে কিছুক্ষণ ম্যারিনেট করে রাখতে পারেন। নয়তো ম্যারিনেট না করেও রান্না করতে পারেন। 
      • একটি প্যানে তেল গরম করে নিন। এই রেসিপিতে এক কাপের তিন ভাগের দুই ভাগ সয়াবিন তেল এবং এক ভাগ সরিষার তেল ব্যবহার করা হয়েছে। আপনি চাইলে পুরোটাই সয়াবিন তেল বা সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন। 
      • এই তেলে পিঁয়াজটাকে একটু বাদামি করে ভেজে নিন। এরপর এতে মাংসটা দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে ভুনে নিন মাঝারি আঁচে। এরপর ঢাকনা চাপা দিয়ে মাংসটা রান্না হতে দিন ১০-১২ মিনিট। এ সময়ের মাঝে মাংস থেকে পানি বের হয়ে আসবে।
      • ১০ মিনিট পর মাংসটা একটু নেড়ে দিন। এবার চুলার আঁচ কমিয়ে দিয়ে আবার ঢাকা দিয়ে রান্না করুন যতক্ষণ না মাংস সিদ্ধ হয় এবং পানি টেনে আসে। চেষ্টা করবেন এই পানিতেই মাংস সেদ্ধ করবার। অতিরিক্ত পানি না দেওয়াই ভালো। মাঝে মাঝে একটু নেড়ে দেবেন। পানি শুকিয়ে মাংস থেকে তেল ছেড়ে দিলে চুলা বন্ধ করে দেবেন। 
      • ফ্রাইপ্যান বা হাঁড়িটাকে একটু কাত করে রাখুন যাতে একদিকে তেল জমা হয়। এই তেলটুকু উঠিয়ে রাখুন, এটা দিয়েই পোলাও রান্না হবে। 
      • পোলাও রান্নার জন্য একটু বড়, ছড়ানো পাত্র ব্যবহার করুন। এতে দিয়ে দিন মাংস থেকে ওঠানো তেল। এই তেলে কয়েক মিনিট একটু ভেজে নিন চালটাকে। এরপর এতে দিন আস্ত গরম মশলা এবং গরম পানি। এরপর দিন দুধ। আপনি যদি পাউডার মিল্ক ব্যবহার করতে চান তাহলে ছয় কাপ পানির সাথে ২-৩ টেবিল চামচ ছড়িয়ে দিতে পারেন। এতে দিন কাঁচামরিচ এবং কেওড়া জল। মনে হতে পারে এত কাঁচামরিচে ঝাল হবে বেশি। আসলে কিন্তু ঝাল তেমন হবে না। বরং ঢাকাইয়া তেহারির মন ভোলানো ফ্লেভার আনার জন্যই এটা জরুরী। 
      • চালের থেকে পানি বেশ কিছুটা শুকিয়ে এলে এতে মাংসটা দিয়ে দিন এবং নেড়ে মিশিয়ে নিন।  এরপর তা ঢাকা দিয়ে খুব কম আঁচে রাখুন ১০ মিনিট। ১০ মিনিট পর একটু নেড়ে ওপরের চাল নিচের দিকে দিয়ে দিন। আবার দমে রাখুন ৬-৭ মিনিট। এরপর চুলা বন্ধ করে দিন।
      • তৈরি হয়ে গেল ঝরঝরে, মুখরোচক ঢাকাইয়া তেহারি। পরিবেশন করুন গরম গরম।
      পুরো রেসিপিটি ভিডিওতে দেখুন! 


      Source: Priyo.com

      বোরহানিকে খুব মিস করছেন, কিন্তু সামনে কোনো বিয়ের দাওয়ার নেই তাই বোরহানি পান করতেও পারছেন না। কেনা বোরহানিতে বিয়ে বাড়ির মতো স্বাদটা পাওয়া যায় না মোটেই। তাই বলে কি অপেক্ষা করে থাকবেন বিয়ের দাওয়াতের জন্য? একদমই না! বিয়ে বাড়ির বোরহানি আপনার নিজের হেঁশেলেই আনতে পারবেন মুক্তি আফরোজের এই দারুণ রেসিপিটিতে।

      রাঁধুনি হিসেবে মুক্তি আফরোজের খ্যাতি মূলত ইউটিউবে। ২৫ হাজারেরও বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে তার কুকিং চ্যানেলটিতে। দেশী বিদেশি বিভিন্ন রান্নার রেসিপি আছে এখানে। মূলত কম ঝামেলায় এবং কম উপকরণেই দারুণ স্বাদ পাওয়া যায় এমন সব রেসিপিই তিনি পছন্দ করেন। পেশায় তিনি গৃহিণী, আর হরেক রকমের রান্নার পেছনে অনুপ্রেরণার জায়গাটা তার পুত্রসন্তানের। তার জন্য রান্না করতে গিয়েই মুলত তার রান্নাবান্নার শুরু। শর্টকাটে বিভিন্ন এক্সক্লুসিভ খাবার ঘরে তৈরি করতেও তিনি পছন্দ করেন। চলুন দেখে নিই তার বোরহানির রেসিপিটি-
      উপকরণ:
      • দেড় কাপ টকদই (পানি ঝরানো)
      • এক চা চামচ ভাজা জিরা গুঁড়া
      • হাফ চা চামচ সাদা গোলমরিচ গুঁড়ো
      • হাফ চা চামচ আদা বাটা
      • এক চা চামচ সাদা সরিষা বাটা
      • এক চা চামচ ধনেপাতা বাটা
      • এক চা চামচ পুদিনা পাতা বাটা
      • এক চা চামচ কাঁচামরিচ বাটা
      • সিকি চা চামচ বিট লবণ
      • দুই টেবিল চামচ চিনি
      •  সামান্য লবণ 
      • এক কাপের তিনভাগের এক ভাগ পানি
      • ১৬-২০টি ধনেপাতার কান্ড
       
      প্রণালী:
      • প্প্রথম টকদইটাকে ঘন করে নিতে হবে। এর জন্য একটা সুতি কাপড়ে বেঁধে কিছুক্ষণ ঝুলিয়ে রাখতে হবে যাতে পানি ঝরে যায়। 
      • এবার একটি পাত্রে টকদইটাকে নিন। এতে যোগ করুন ভাজা জিরা গুঁড়ো, সাদা গোলমরিচ গুঁড়ো, আদা বাটা, সরিষা বাটা, ধনেপাতা বাটা, পুদিনা পাতা বাটা, কাঁচামরিচ বাটা এবং বিট লবণ। এতে দুই চা চামচ চিনি এবং লবণ যোগ করুন। চিনি ও লবণ নিজের স্বাদমতোও যোগ করতে পারেন।
      • এক্ষেত্রে আপনার মনে রাখতে হবে যে, এই রেসিপিতে যেসব উপকরণ বাটা ব্যবহার হচ্ছে, সেগুলো খুবই মিহি করে বাটতে হবে।
      • একটি ডাল ঘুঁটনি বা হ্যান্ড হুইস্ক দিয়ে সবকিছু খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। ব্লেন্ডারও ব্যবহার করতে পারেন।
      • দইয়ের সাথে সব মশলা ভালো করে মিশে গেলে এরপর এতে পানি যোগ করুন। পানি ভালোভাবে মিশে গেলে এবার ফ্রিজে রাখতে পারেন।
      • ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পরিবেশন করুন বিয়েবাড়ির মতোই ঘন বোরহানি।
      পুরো রেসিপিটি ভিডিওতে দেখুন! 


      Source: Priyo.com

      মুখরোচক থাই খাবার বরাবরই পছন্দ বাঙালীদের। বিশেষ করে রাইসের সাথে মশলাদার থাই কারি। মজাদার এই খাবারটি আরেকটি ধরণ নিয়ে এলাম আপনাদের জন্য। থাই কারি রাইসের মজাটা পাবেন রাইস বলসের ভেতরে। এটা তৈরি করাটাও বেশ সহজ। চলুন দেখে নিই রেসিপিটি।

      উপকরণ:

      থাই গ্রিন পেস্টের জন্য
      • ১৬-২০টি ধনেপাতার কান্ড
      • ২টি কাঁচামরিচ
      • ১ ইঞ্চি লেমন গ্রাস
      • আধা চা চামচ আদা গুঁড়ো
      •  আধা চা চামচ ধনে
      • পৌনে এক চা চামচ জিরা
      • ২ টেবিল চামচ টাটকা ধনেপাতা
      • লবণ স্বাদমতো
       
      নারিকেলের পিউরির জন্য
      • ১৬-২০টি বেসিল পাতা
      • আধা কাপ নারিকেলের দুধ 
      রাইস বলের জন্য
      • ১ কাপ রান্না করে রাখা জেসমিন রাইস
      • আধা কাপ নারিকেলের দুধ
      • সিকি কাপ সয়া চাঙ্ক
      • আধা চা চামচ চিনি
      • এক টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি
      • এক টেবিল চামচ বেবি কর্ন কুচি
      • ২ টেবিল চামচ জুকিনি কুচি
      • ১ টেবিল চামচ লাল ক্যাপসিকাম কুচি
      • ব্রেডক্রাম্বস প্রয়োজনমত
      • কয়েক চামচ ময়দা
      • ভাজার জন্য তেল

        প্রণালী:
        • প্রথমে থাই গ্রিন পেস্ট তৈরি করে নিন। 
        • সবগুলো উপকরণ একত্রে মিক্সারে দিয়ে পেস্ট করে নিন।
        • একইভাবে নারিকেলের দুধ ও বেসিল পাতা দিয়ে পিউরি তৈরি করে নিন।
        • একটি ফ্রাইপ্যানে আধা কাপ নারিকেলের দুধ গরম করে নিন। 
        • এতে প্রথমে থাই গ্রিন পেস্ট দিয়ে মিশিয়ে নিন। 
        • এরপর এতে নারিকেল-বেসিল পিউরি দিয়ে মিশিয়ে নিন। 
        • দরকার হলে অল্প করে লবণ দিন। 
        • ফুটে এলে এতে সয়া চাঙ্ক দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে রান্না করুন। 
        • সয়া চাঙ্ক আধা সেদ্ধ হয়ে এলে এতে সবজিগুলো দিয়ে দিন। 
        • নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিন সবগুলো। 
        • সয়া চাঙ্ক এবং সবজি সেদ্ধ হয়ে এলে নামিয়ে নিন।
        • এই সবজির সস ঢেলে দিন জেসমিন রাইসের ওপর। 
        • মিশিয়ে নিন ভালো করে। 
        • এরপর এই মিশ্রণ কিছুক্ষণ ফ্রিজে রাখুন যাতে বল তৈরি করতে সুবিধা হয়।
        পুরো রেসিপিটি ভিডিওতে দেখুন! 


        Source: Priyo.com

        বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সারের নিরাময় পদ্ধতি বিভিন্ন ধরণের। স্তন্য ক্যান্সার হচ্ছে সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ক্যান্সার যা নিরাময় করাটা কঠিন। ইস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন এবং এপিডারমাল গ্রোথ ফ্যাক্টর রিসেপ্টর ২ (HER2) এই ৩ টি উপাদানের উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির উপর ভিত্তি করে ব্রেস্ট ক্যান্সারকে শ্রেণী বিভক্ত করা হয়। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, গবেষকেরা স্তন্য ক্যান্সার নিরাময়ের প্রাকৃতিক উপাদান খুঁজে পেয়েছেন। আর সেই ঘরোয়া উপাদানটি হচ্ছে কাঁচামরিচ।

        এছাড়াও কাঁচামরিচে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং এতে রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান ও বিদ্যমান। কাঁচামরিচ ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রন এ সমৃদ্ধ। ফ্রি র‍্যাডিকেলের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে সাহায্য করে কাঁচামরিচ। কাঁচামরিচের ক্যান্সার নিরাময়ে সাহায্য করে যেভাবে :

        টিআরপি চ্যানেল
        ক্যাপসাইসিন নামক সক্রিয় উপাদান থাকে কাঁচামরিচে যা ক্যান্সার কোষের উপর প্রভাব সৃষ্টি করে। গবেষণামতে বিভিন্ন সম্ভাব্য অস্থায়ী রিসেপ্টর (TRP)  চ্যানেলের প্রভাব ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধির উপর পড়ে। টিআরপি চ্যানেলগুলোকে ঝিল্লিময় আয়ন চ্যানেলের উদ্দীপনার দ্বারা প্রভাবিত করা যেতে পারে।

        ক্যাপসাইসিন এর প্রভাব
        ক্যাপসাইসিন কোষের মৃত্যুর উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে এবং ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিকে প্রতিহত করতে পারে। এটা শুধু ব্রেস্ট ক্যান্সারই নয় কোলন ক্যান্সার ও অগ্ন্যাশয় ক্যান্সার নিরাময়েও সাহায্য করতে পারে। 

        অলফ্যাক্টরি রিসেপ্টর
        এটি এমন এক ধরণের প্রোটিন যা ছোট অণুগুলোকে একসাথে আবদ্ধ করতে পারে। এটি ক্যাপসাইসিনের দ্বারাই সক্রিয় হয়। গবেষণায় এটা জানা গেছে যে, টিআরপি চ্যানেল সক্রিয় হওয়ার পরে ক্যান্সার কোষ এবং অনেক বেশি সংখ্যক টিউমার কোষ ও মারা যায়।

        ব্রেস্ট ক্যান্সার
        চূড়ান্তভাবে গবেষণা শেষে এটাই বলা হয় যে, খাবারের মাধ্যমে বা শ্বাসের মাধ্যমে ক্যাপসাইসিন গ্রহণ করাই ক্যান্সার কোষ নিরাময়ের জন্য যথেষ্ট।

        Source: Priyo.com

        অনেকেই মনে করেন পনির দিয়ে তেমন কোন খাবার রান্না করা সম্ভব নয়। অথচ এই খাবারটি দিয়ে তৈরি করা সম্ভব মজার মজার সব খাবার। টিক্কা মাসালা খাবারটির নাম শুনলে চোখে ভেসে উঠে চিকেন কিংবা মাটন টিক্কা মাসালার ছবি। পনির দিয়েও টিক্কা মাসালা তৈরি করা সম্ভব। এটি স্বাদে, গন্ধে চিকেন টিক্কা থেকে কিছু কম নয়। আসুন তাহলে পনির টিক্কা মাসালার রেসিপিটি জেনে নেওয়া যাক।

        উপকরণ:
        • ২৫০ গ্রাম পনির
        • ১ টি বড় লাল ক্যাপসিকাম
        • ১টি বড় হলুদ ক্যাপসিকাম
        • ১টি বড় সবুজ ক্যাপসিকাম
        • ১টি বড় পেঁয়াজ
        • ২০০ গ্রাম টকদই
        • ১ চা চামচ আদা রসুনের পেস্ট
        • ১/৪ চা চামচ মৌরি
        • ২ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো
        • ১/২ হলুদ গুঁড়ো
        • ১/২ চা চামচ চাট মশলা
        • ১/২ টা লেবুর রস
        • ১ টেবিল চামচ সরিষা তেল
        • ১ টেবিল চামচ মাখন
        • লবণ

        সাজানোর জন্য

        • পুদিনা পাতা
        • পেঁয়াজের টুকরো
        • লেবুর টুকরো

        প্রণালী:

        • পনিরকে ডাইস আকৃতিতে কেটে নিন।
        • একটি পাত্রে টকদই, মরিচ গুঁড়ো, চ্যাট মশলা, লবন, সরিষা তেল, হলুদ গুঁড়ো, মৌরি, আদা রসুনের পেস্ট এবং লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে নিন।
        • এবার মশলার এই পেস্টে পেঁয়াজের টুকরো, ক্যাপসিকামের টুকরো এবং পনিরের টুকরো দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে ১৫ মিনিট মেরিনেইট করার জন্য রাখুন।
        • একটি কাবাব শিকে প্রথমে ক্যাপসিকামের টুকরো, তারপর পনিরের টুকরো, এরপর ক্যাপসিকামের টুকরো এবং সবশেষে পনির দিয়ে দিন।
        • একটি নন-স্টিক প্যানে তেল গরম করতে দিন। এতে শিকগুলো দিয়ে দিন।
        • রান্না করতে থাকুন যতক্ষণ পর্যন্ত না ভালভাবে রান্না হয়। পনিরের উপর মাঝে মাঝে মাখন ব্রাশ করুন।
        • দুই পাশ বাদামী রং হয়ে আসলে নামিয়ে ফেলুন।
        • ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার পনির টিক্কা মাসালা।

        নিচের ভিডিওতে পুরো রেসিপিটি দেখে নিনঃ

        Source: Priyo.com
         

        মাংস খেতে খেতে বিরক্ত চলে এসেছে নিশ্চয়। স্বাদ বদলাতে অনেকেই সবজি, মাছ রান্না করছেন। প্রতিদিন একই ধরণের সবজি খেতে কার ভাল লাগে বলুন? সবজি রান্নাটি একটু ভিন্নভাবে করা গেলে দারুন হয়, তাই না? প্রতিদিনকার সবজি রান্না করুন একটু ভিন্নভাবে রেস্টুরেন্ট স্টাইলে।

        উপকরণ:

        গ্রেভির জন্য
        • ৩টি বড় টমেটো
        • ২টি মাঝারি আকারে পেঁয়াজ
        • ২ টেবিল চামচ কাজুবাদাম
        • ১-১/২ টেবিল চামচ তেল
         
        সবজির জন্য
        • ১/৪ কাপ আলু কুচি
        • ১/৪ কাপ গাজর কুচি
        • ১/৪ কাপ ফুলকপি
        • ১/৪ কাপ বিনস
        • ১/৪ কাপ মটরশুঁটি
        • ১/৪ কাপ ক্যাপসিকাম কুচি
        • ১/৪ কাপ পনির কুচি
        • ২-৩ টেবিল চামচ মাখ
        • ২-৩ টেবিল চামচ ক্রিম
        • ধনেপাতা কুচি
        • লবণ স্বাদমত
        • ১-১/২ টেবিল চামচ কাশ্মেরী লাল মরিচ গুঁড়ো
        • ১ চা চামচ ধনিয়া গুঁড়ো
        • ১ চা চামচ জিরা গুঁড়ো
        • ১/২ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
        • ১/২ চা চামচ কাসরি মেথি
        • ১/২ চা চামচ আদা রসুন পেস্ট
        • ৩-৫ টেবিল চামচ তেল
        • ১টি ভাজা পাঁপড় (ইচ্ছা)

        প্রণালী:
        • গ্রেভির জন্য প্রথমে প্যানে তেল গরম করতে দিন।
        • এরপর এতে টমেটো কুচি, কাজুবাদাম এবং পেঁয়াজ কুচি দিয়ে মঝারি আঁচে নাড়ুন।
        • টমেটো নরম হয়ে এলে এতে পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন।
        • এখন আরেকটি প্যানে তেল গরম করতে দিন। এতে আলু কুচি, গাজর কুচি দিয়ে ভাজুন। ভাজা হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন।
        • আবার ফুলকুপি, বিনস, এবং পনির দিয়ে ভেজে নামিয়ে ফেলুন।
        • এখন বাকি তেলের সাথে মাখন দিয়ে দিন। মাখন গলে গেলে আদা রসূনের পেস্ট দিয়ে নাড়ুন।
        • এরপর এতে টমেটো পেস্ট, লবণ, লাল মরিচ গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে নাড়ুন।
        • বলক না আসা পর্যন্ত এটি নাড়তে থাকুন।
        • গ্রেভি রান্না হয়ে গেলে এতে মটরশুঁটি, ক্যাপসিকাম কুচি দিয়ে ২-৩ মিনিট নাড়ুন।
        • তারপর এতে ভাজা সবজিগুলো দিয়ে দিন।
        • ধনিয়া গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো, কাসরি মেথি দিয়ে দিন।
        • এবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৫ মিনিট রান্না করুন।
        • শেষে ক্রিম, ধনে পাতা কুচি দিয়ে দিন।
        • চুলা থেকে নামানোর আগে ভাজা পাঁপড় গুঁড়ো করে দিয়ে মিশিয়ে নিন।
        • ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার রেস্টুরেন্ট স্টাইল মিক্স ভেজি সবজি!
        পুরো রেসিপিটি ভিডিওতে দেখুন! 


        Source: Priyo.com
         

        আচার নামটি শুনলেই জিভে পানি চলে আসে। আমের আচার, জলপাইয়ের আচার অথবা বরই আচার নানা রকম আচার তৈরি করা হয়। অনেকে সবজি আচার তৈরি করে থাকেন। বেগুনের আচার তৈরি করেছেন কখনও? বেগুন দিয়ে মজাদার আচার তৈরি করা সম্ভব। ভাবছেন কীভাবে? আসুন তাহলে জেনে নিন রেসিপিটি।

        উপকরণ:
        ২৫০ গ্রাম বেগুন পাতলা করে কাটা
        ২ টেবিল চামচ সরিষা বীচি
        ভিনেগার
        ১ কাপ সরিষা তেল
        ৪টি কাঁচা মরিচ
        ৮ কোয়া রসুনের কোয়া
        ১ চা চামচ গোল মরিচের গুঁড়ো
        ১/২ চা চামচ হলুদের গুঁড়ো
        ১ চা চামচ জিরা গুঁড়ো
        ২ চা চামচ মরিচের গুঁড়ো
        এক কাপ ভিনেগার

        প্রণালী:
        ১। বেগুন পাতলা করে কেটে লবণ পানির মধ্যে এক ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন।
        ২। এক ঘন্টা পর বেগুন থেকে পানি ঝরিয়ে নিন। এর সাথে সরিয়া বীচি এবং ভিনেগার মেশান।
        ৩। একটি প্যানে তেল গরম করতে দিন। তেলে বেগুনের টুকরোগুলো দিয়ে দিন। বাদামী রং হওয়ার পর্যন্ত ভাজুন।
        ৪। ভাজা হয়ে গেলে বেগুনগুলো প্যান থেকে নামিয়ে ফেলুন।
        ৫। একই তেলে কাঁচা মরিচ, আদা এবং রসুন দিয়ে নাড়ুন।
        ৬। এবার তেলে সরিয়া বাটা, গোলমরিচ, হলুদ গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, চিনি, ভিনেগার এবং ভাজা বেগুন দিয়ে দিন।
        ৭। এরসাথে লবণ দিয়ে অল্প আঁচে ৫ মিনিট রান্না করুন।
        ৮। পাঁচ মিনিট পর নামিয়ে ফেলুন। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার বেগুনের আচার।

        ভিডিও দেখুনঃ

        Source: Priyo.com
         

        গাজর একটি স্বাস্থ্যকর সবজি। গাজর ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং  বিটা ক্যারোটিন এ ভরপুর থাকে। পুষ্টিতে সমৃদ্ধ গাজরের স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রচুর।  গাজর কাঁচা, সিদ্ধ বা রান্না করেও খাওয়া যায়। গাজরের কয়েকটি স্বাস্থ্যকর খাবার প্রস্তুত প্রণালী জেনে নিই চলুন।

        ১। ক্যারট রাইস
        চুলায় মাঝারি আঁচে একটি পাত্র বসান। পাত্রে সামান্য তেল দিন। এবার এতে বুটের ডাল, মটরের ডাল, সরিষা বীজ এবং জিরা দিন। এর মধ্যে কারী পাতা ও এক কাপ গাজর কুচি যোগ করুন। অল্প আঁচে ৫ মিনিট রান্না করুন। লবণ ও হলুদ যোগ করুন। এবার এর মাঝে ভাত যোগ করুন। ৩ মিনিট রান্না করুন। সবশেষে ধনে পাতা যোগ করুন এবং গরম গরম পরিবেশন করুন ক্যারট রাইস। 

        ২। গাজরের স্যুপ
        টুকরো করা গাজর ও ভেজিটেবল স্টক ব্লেন্ডারে নিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। একটি পাত্রে তেল গরম করে নিন। গরম তেলে পেঁয়াজ কুঁচি, আদা কুঁচি, সেলেরি ডাঁটা কুঁচি ও অরিগেনো যোগ করুন। গাজর ও ভেজিটেবল স্টক এর মিশ্রণটিতে লবণ ও মরিচ যোগ করুন। এবার ১০ মিনিট রান্না করুন। তারপর রান্না করা সবজিগুলো ব্লেন্ডারে দিন এবং এর সাথে সিদ্ধ আলু যোগ করে মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। এবার ধনেপাতা যোগ করে গরম গরম পরিবেশন করুন।

        ৩। ক্যারট অ্যাপল স্যান্ডউইচ
        ১ টি আপেল ও আধা কাপ গাজর কুঁচি করে নিন। একটি পাতলা সুতি কাপড়ের মধ্যে ৫-৬ টেবিল চামচ দই নিয়ে কাপড়টি পুঁটলির মত করে একঘন্টা ঝুলিয়ে রেখে দিন যাতে দই থেকে পানি আলাদা হয়ে যায়। আপেল ও গাজর কুঁচির সাথে লবণ, মরিচ, দই ও অরিগেনো দিয়ে ভালো করে মিশান। এবার পাউরুটির টুকরায় মাখন লাগান এবং সবজি ও ফলের মিশ্রণটি দিয়ে উপরে আরেকটি পাউরুটির টুকরা যোগ করুন। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল ক্যারট অ্যাপল স্যান্ডউইচ।

        ৪। ওটস ও গাজরের ক্ষীর
        ৪ টেবিল চামচ ওটস ও ৭-৮ টি কিশমিশ আধা কাপ দুধে ভিজিয়ে রাখুন। ১ কাপ দুধ ও একটি গাজরের অর্ধেক অংশ একসাথে মিশিয়ে ৫ মিনিট সিদ্ধ করুন। এখন এর মধ্যে ভেজানো ওটস ও কিশমিশ দিয়ে ৫ মিনিট রান্না করুন। এক চিমটি এলাচ গুঁড়া ও ৩-৪ টি কাঠ বাদাম যোগ করে গরম গরম পরিবেশন করুন।

        ৫। গাজরের কেক
        প্রথমেই ওভেনকে ২০০ ডিগ্রী তাপে প্রিহিট করে নিন। বেকিং ডিশে অল্প বাটার লাগিয়ে নিন। ৩০ গ্রাম গাজর কুঁচি, ১৫ গ্রাম ময়দা, ১ চা চামচের ৪ ভাগের ১ ভাগ পরিমাণ বেকিং পাউডার, ১ চা চামচের ৪ ভাগের ১ ভাগ পরিমাণ বেকিং  সোডা, ১ চা চামচের ৪ ভাগের ১ ভাগ দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে নিন। ২ টা ডিমের সাদা অংশ ফেটিয়ে নিন। ১ টেবিল চামচ দুধ ও ভেনিলা এক্সট্রাক্ট নিন। ভেজা ও  শুকনো সবগুলো উপাদান একসাথে মিশিয়ে বাটার লাগিয়ে রাখা বেকিং ডিশে ঢালুন।  প্রিহিট করে রাখা ওভেনে দিয়ে ১৫ মিনিট বেক করুন। ওভেন থেকে বের করে ৫  মিনিট পরে পরিবেশন করুন গাজরের কেক।   


        গরুর মাংস সকলেরই প্রিয় খাবার। যাদের গরুর মাংসে খাওয়ায় সমস্যা রয়েছে তারাও গরুর মাংস দেখলে খাওয়ার লোভ সামলাতে পারেন না। আজকের আয়োজনে গরুর মাংসপ্রিয়দের জন্য রইল ভিন্ন একটি রেসিপি। খুব সহজে ও কম সময়েই তৈরি করতে পারবেন এই খাবারটি।



        উপকরনঃ
        • ১ কেজি গরুর মাংস,
        • ৪/৫ টি বড় পেঁয়াজ (মোটা করে কাটা),
        • আদাবাটা ২ টেবিল চামচ,
        • রসুন বাটা ৪ চা চামচ,
        • হলুদ গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ,
        • মরিচ গুঁড়ো ৪ চা চামচ,
        • ২ কাপ দুধ, লবণ স্বাদ মতো,
        • ৫/৬ টি শুকনো মরিচ,
        • কাঁচামরিচ আস্ত ৮-১০টি,
        • ৪/৫ টি এলাচ, ২টি তেজপাতা,
        • ২ খণ্ড দারুচিনি,
        • ৫/৬ টি লবঙ্গ ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

        প্রণালীঃ
        • মাংস কেটে ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। একটি পাত্রে দুধ, ২ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো, ২ চা চামচ রসুন বাটা, ১ চা চামচ আদা বাটা ও ৩ টেবিল চামচ সরিষার তেল দিয়ে মাংস ৩০ মিনিট মেরিনেট করে রাখুন। 
        • প্রথমে একটি প্যানে সরিষার তেল গরম করে এতে শুকনো মরিচ দিয়ে ভেজে নিন। এরপর এতে পেঁয়াজ, তেজপাতা এবং গরম মসলা দিয়ে অল্পক্ষণ ভেজে নিয়ে আদা ও রসুনবাটা, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে মসলা কষে নিন।
        • মসলা ভালো করে কষিয়ে গরুর মাংস দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে দিন এবং কষাতে থাকুন। মাংস কষিয়ে এতে অল্প পানি দিন। যখন বুঝবেন মাংস মাখামাখা হয়ে আসছে তখন কাঁচামরিচ দিয়ে মাংস চুলার উপরে রেখে দিন আরো ১০ মিনিট। ১০ মিনিট পর চুলা থেকে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।


        আজকের রেসিপি আয়োজনে রয়েছে দারুণ মজাদার চাইনিজ হাক্কা নুডুলস। চলুন শিখে নিই, কীভাবে তৈরি করতে হয় চাইনিজ হাক্কা নুডুলস।



        উপকরনঃ
        • মোটা নুডলস- ১ প্যাকেট ( বাজারে হাক্কা নুডুলস কিনতে পাওয়া যায় )
        • মাশরুম – ইচ্ছা মত
        • চিকেন সেদ্ধ- ইচ্ছা মত
        • পেঁয়াজ কুচি-১টি মাঝারি মাপের
        • রসুন কুচি ২ কওয়া
        • বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ
        • ক্যাপসিকাম কুচি ২ টি ( লাল , সবুজ)
        • গাজর কুচি ১ কাপ
        • তেল- ৩ টেবিল চামচ
        • গোলমরিচের গুঁড়ো হাফ চা চামচ
        • সয়া সস- ১ টেবিল চামচ
        • ভিনিগার-১ চা চামচ
        • ফিশ সস- ১ চা চামচ (ইচ্ছা / না দিলেও হবে )
        • ওয়েস্টার সস- ১ চা চামচ
        • বিন স্প্রাউট-আধা কাপ
        • লবন স্বাদমতো
        • মাশরুম বা চিকেন সেদ্ধ- ইচ্ছা মত

        প্রণালীঃ
        • সব সসগুলো একসাথে মিশিয়ে নিন।
        • নুডলসগুলো সামান্য লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন।
        • এবার কড়াইতে ২ টেবিল চামচ তেল দিয়ে তাতে পেঁয়াজ ও গাজর দিয়ে ভাজতে থাকুন।
        • এরপর বাঁধা কপি ,মাশরুম ও চিকেন দিয়ে আরও খানিকক্ষণ ভাজুন।
        • এবার সেদ্ধ করে রাখা নুডলসগুলো দিয়ে দিন।
        • আরও এক চামচ তেল দিন সঙ্গে লবন, গোলমরিচ গুঁড়ো, সস দিয়ে নাড়তে থাকুন।
        • এবার ক্যাপসিকাম,স্প্রাউট ও ভিনিগার দিয়ে আরও খানিকক্ষণ ভেজে নিন।
        • হয়ে গেল হাক্কা নুডলস